হংকংয়ে বিতর্কিত বহি:সমর্পন বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে হাজারো বিক্ষোভকারী। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে হংকংয়ের একটি শপিং মলের ছাদে ব্যানার টানাতে গিয়ে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। আর এ আজ কারণে শপিং মলটিতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। সেখানে ফুল ও নানা অনুষঙ্গ দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন
৩৫ বছর বয়সী নিহত লোকটির নাম লিউং। তিনি প্যাসিফিক প্লেস শপিং মলের ছাদ থেকে একটি ব্যানার ঝুলাতে গিয়ে মারা যান।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাদের ওপর থেকে পড়তে থাকা লোকটিকে ধরতে চেষ্টা করছে দমকলকর্মীরা। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।
তারা তার জামা ধরে ফলে এবং তিনি তাদের হাত থেকে স্লিপ কেটে পড়ে যান। নীচে জাল পাতা থাকলে তা তাকে পড়ন্ত অবস্থায় আটকাতে ব্যর্থ হয়।
জরুরী কর্মীরা একটি কুশন দিয়ে পড়ন্ত অবস্থায় তকে ধরার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়।
ওই লোকটির ব্যানারের ভাষ্য ছিল: ‘চীনের বহি:সমর্পন বিল পুরোপুরি প্রত্যাহার করো। আমরা দাঙ্গা করছি না। ছাত্র ও আহতদের মুক্তি দাও।’
হাজারো শোকাতুর মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধা
এই লোকের মৃত্যুশোকে হাজারো শোকাতুর মানুষ কালো কাপড় পরে হংকংয়ের ব্যস্ত রাস্তাটির পাশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। কেউ-কেউ কান্নাকাটি করেছে, কেউবা ধূপ জ্বালিয়েছে।
এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে সাদা ফুলের বড় ঢেউয়ের পাশে শত শত হাতে লেখা লিখিত বার্তা ছিল। উপহারের লাইনগুলোতে ছিল মল্ট হুইস্কির বোতল সহ উপহার। একটি সাদা টুপির মধ্যে লেখা ছিল ‘নায়ক’।
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা জনতার একজন ৮ বছর বয়সী ট্রাভিস। তিনি বলেন, সাদা ফুল বিশুদ্ধতার প্রতীক। তাই এই ফুল দিয়ে আমরা মৃতদের সম্মান প্রদর্শন করতে পারি।
হংকংজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ
২৬ বছর বয়সী ইউং নামে এক ব্যক্তি লিউংয়ের উদ্দেশে বলেন, তিনি রক্তস্নাত পথে হেঁটে গেছেন। আমি তার শক্তি আর সাহসের প্রশংসা করি।
একটি সাইটের পোস্ট করা হয়েছে : হেল্প হংকং। চীনে কোনো প্রত্যর্পণ নয়, রিপ।’
এদিকে গতকাল হংকং সরকারের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বিক্ষোভের মুখে বিলটি স্থগিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনে মানুষের ঢল
মেস ল্যাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন. তিনি জনসাধারণের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ওই পদক্ষেপ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এটা কর্তৃপক্ষকে সন্দেহভাজ অভিযুক্তদের প্রধান ভূখণ্ড চীনে বিচারের সম্মুখীন করতে সক্ষম করবে।
এদিকে আজ রবিবার সমাবেশে অংশ নেওয়া প্রতিবাদকারীরা বিভাজনের বিলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।